Wednesday, November 13, 2013

বিবেকানন্দের মুলুক থেকে অরবিন্দের খাসতালুকে

২৬ ডিসেম্বর ২০০৫... একটা পাথরের স্তম্ভের ওপর রাশি রাশি মালা চাপানো হচ্ছে । ইতস্তত দাঁড়িয়ে, কিছু মানুষ । কৌতূহল হল, তাই আমিও একটু এগিয়ে গিয়ে উঁকি মারলাম । স্তম্ভের ওপর, ইস্পাত ফলকের লেখার অনেকটাই ঢাকা পরে গেছে স্তম্ভ থেকে কিছু হাত দূরে, সবুজের ঢাল পেরিয়ে, যে মহাসমুদ্র শান্ত মেয়ের মত, চুমকি-বসানো  চিকিমিকি আঁচল বিছিয়ে, রোদ পোয়াচ্ছে ... প্রকৃতির খেয়ালে, একটি বছর আগে, ঠিক এই দিনেই, এই নিরীহ মেয়েটিই ভয়ঙ্করি রূপে, ভীষণ আকার ধারন করে, তার কালো চুলের গোছা দিয়ে আকাশ ঢেকে, প্রবল গর্জনে ধেয়ে এসে, অসহায় মানুষের আকুতি কে দু-পায়ে মাড়িয়ে, এই তটভূমি, লোকবসতি ব্যবসা-বাণিজ্য, সমস্ত স্থিতিশীলতা কে  লণ্ডভণ্ড করে, তাণ্ডব শেষে, ফিরে গেছে নিজের ঘরের কোনে। আজ সে বাধ্য, শান্ত, কেমন যেন আনমনা। ইস্পাত-ফলকে, সেই তাণ্ডবের বিবরণ।    
কুমারি মাতার মন্দিরের সামনে এসে দাঁড়ালাম । আমি যে ভারতীয় উপদ্বিপের শেষ বিন্দু তে, এতক্ষনে, নিশ্চয় বুঝে গেছেন আপনারাথিরুবনন্তপুরম থেকে গাড়ি তে ঘণ্টা তিনেকের পথ, কন্যাকুমারীসারাটা রাস্তা সবুজ সঞ্চয় করতে করতে এলাম। চোখ ভরে ,মন জুড়িয়ে, আদেখলার মত, কোঁচড় ভরে...সবুজ কুড়িয়ে নিলাম, যদি সেটা দিয়ে আগামী পথের রুক্ষতা কে কিছু মাত্র ঢাকতে পারি...এই আশায় ।  
কুমারি আম্মান, এই ছোট্ট মন্দির-শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । পাণ্ড্য রাজবংশের তৈরি এই মন্দির, হাজার তিনেক বছর ধরে যেন, আরব সাগর, ভারত মহাসাগর আর বঙ্গোপসাগরের মিলন কে আগলে রেখেছে পরে পরে, চোল আর নায়ক রাজাদের হাতে, এই মন্দির সংস্কার হয় ।
আকাশ লাল করে, তিন সাগর কে তিন বর্ণে রাঙ্গিয়ে, সূর্য্যি পাটে গেলেনআবছায়া তে মন্দিরের প্রাচীরের গায়ে জড়াজড়ি করা দোকান গুলোর রকমারি পসরার ডাক কে উপেক্ষা করে ফটক পেরিয়ে ঢুকে পরলাম মন্দির-প্রাঙ্গনে । গর্ভগৃহে প্রবেশের মুখে ছোটখাটো একটা জটলা । লক্ষ্য করলাম, সমস্ত পুরুষ দর্শনার্থীর পরনে সাদা ধুতি, নিরাবরন ঊর্ধ্বাঙ্গ তাদের । দেশ-বয়স-অর্থসামর্থ্য নির্বিশেষে তারা আজ করজোড়ে, একসাথে, মা এর দর্শন অভিপ্রায়ে দাঁড়িয়ে...ধর্ম যে শুধুমাত্র বিভেদ-সৃষ্টিকারী নয়, মানুষে মানুষে সমতা আনতেও সে পারে...এই উপলব্ধি হল আমার ।  
কুলুঙ্গির প্রদীপের আলয়, নীল বর্ণা দেবী, হাতে জপমালা, অঙ্গে স্বর্ণাভরন , মাথায় হীরা- চুনি খচিত স্বর্ণ-মুকুটশোনা যায়, যে,দেবীর নথের হিরের দ্যুতি নাকি বহু জাহাজ কে দিকভ্রান্ত করেছে। নথের হীরের চিকিমিকি কে আলোকস্তম্ভের আলো ভেবে, ভুল করে, এই মন্দির সংলগ্ন উপকুলেই ভিড়েছে বহু জাহাজ, আর তার ফলস্বরুপ নাকি, পূব–মুখি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় পরবর্তীকালেমন্দিরের পাথরের দেওয়ালে, কুলুঙ্গির প্রদীপের স্বল্প আলোর প্রতিফলনে, আলো-ছায়ার নৃত্যে, চাঁপা ফুলের আর ধুপের সেই মন আবেশ করা গন্ধের এক অতিপ্রাকৃত পরিবেশে, এই গল্পও বিশ্বাসযোগ্য লাগে ।
দিনের আলোতে, দেখলাম, মন্দিরের দক্ষিণপূর্ব দিক বরাবর মূল ভূখণ্ড থেকে আধ কিলোমিটার মত দূরত্বে, পাশাপাশি দুটি প্রস্তরখণ্ডের ওপর, দুটি স্থাপত্য । একটি তে  বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল, আর অপরটিতে , তামিল কবি থিরুভাল্লুভার এর প্রস্তর মূর্তি লঞ্চ পরিসেবার কার্যালয়ের সামনে তেল চুপচুপে মাথার সারি, নারকেল তেল আর জুঁই ফুলের সুবাসে, আর নানা ধরনের ‘মাদ্রাসি’ ভাষার সমন্বয়ে ঘ্রানেন্দ্রিয় আর শ্রবণেন্দ্রিয়, এই দু এর ওপরেই কিঞ্চিত চাপ অনুভব করলামজেটি থেকে একটা লঞ্চ এ চেপে চললাম মোচার খোলায় দুলতে দুলতে, সকালে খাওয়া ইডলি টা জলেই বিসর্জন দিয়ে
মানুষ তার ক্ষুদ্র শক্তির কত বড়াই করে, বিজ্ঞান-তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কত যে তার আস্ফালন, উন্নত মগজাস্ত্র দিয়ে আশেপাশের সব কিছু কে করায়ত্ত করার মত্ত প্রচেষ্টা তার । আর প্রকৃতি শুধু প্রশ্রয়ের মুচকি হাসি হাসেএই মহাসাগরের মাঝখানে, নিজের ক্ষুদ্রতাকে খুব বেশি করে অনুভব করলাম যেন ।
ধুক্ তে ধুক তে পৌঁছলাম বিবেকানন্দর স্মৃতি ধন্য বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল এ আদিগন্ত চোখ যায় যতদূর, নীল, সবুজ,খয়েরি, হলুদ এসে একে অপরের সাথে মিশে গেছে ।  বিভেদের মাঝে মিলন...ভারতবর্ষের প্রাণসত্তার যে মূল সুর , সেই আদর্শের প্রতিফলন যেন ভারতের মাটি ছাড়িয়ে, সাগরের জলেও দেখা যায় রেলিং–ঘেরা চত্বরে, হাজার খানেক মানুষ , তবু সব কোলাহল, ব্যাস্ততা কিসের নির্দেশে যেন একটা ‘টাইম ওয়ারপ এসবাই একদৃষ্টে ভয়ঙ্করের রূপ দেখছে আবিষ্ট হয়ে
বিবেকানন্দ স্মৃতি সৌধ এ দুটি মণ্ডপ । একটি তে পাথরের মধ্যে দেবী কুমারীর পায়ের ছাপ, অপরটি স্বামীজির মণ্ডপএখানে স্বামীজির সৌম্য মূর্তি, আর আছে একটি ধ্যানমন্দির, শতরঞ্চি পাতা বাহুল্য বর্জিত এই ধ্যানমন্দিরে কেউ ধ্যানাসনে চোখ বুজে বসে, আবার কেউ কেউ দেওয়ালে পিঠ লাগিয়ে হাঁটু দুটো দু হাতের বেষ্টনী তে ধরে বসে আছে, শরীর শিথিল , মন শান্ত, অন্তরমুখি যাত্রা শুরু করেছে তারা ।
কিছু দূরে থিরুভাল্লুভার এর স্মৃতিসৌধ তার উচ্চতা আর আকার দিয়ে এই বিবেকানন্দ স্মৃতিসৌধকে আড়াল করে রেখেছে। ইনি, তামিল কবি, দার্শনিকদের অন্যতম এবং এনার রচিত থিরুক্কুরাল তামিলদের কাছে ধর্মগ্রন্থের সমতুল্য ।
ফিরতি পথে লঞ্চে কিছু বাংলা কথার মধ্যে মাছ ভাত এর জন্যে হা হুতাশ কানে এলো । নিজেকে মাছরসিক বলে মনে হয়নি কখনই আমার , কিন্তু মাছ যে বাঙালির ‘জিন’ এ, নিস্তার নেই যে । ধোসার দেশে বেশ কিছু দিন হল, আলু পটল কাঁচা লঙ্কা  দিয়ে কাটাপোনার ঝোলের জন্য কেমন যেন হু হু করতে লাগলো মনটা
বিবেকানন্দপুরমের সমুদ্র তট থেকে দেখা সূর্যাস্ত আমার দেখা সূর্যাস্ত গুলোর মধ্যে অন্যতমএটি বিবেকানন্দ কেন্দ্রের মুখ্য কার্যালয় । পর্যটকদের এখানে থাকা খাওয়ার সুন্দর বন্দোবস্ত আছে বিবেকানন্দপুরম থেকে আমাদের অস্থায়ী বাসস্থান, সমুদ্রপারের তামিলনাড়ু ট্যুরিজম এর দিকে চললাম । বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই হোটেল, বারান্দায় বসলে, সামনেই সমুদ্র,  অদূরে তিন রঙের জলরাশি, বিবেকানন্দ রক মেমরিয়াল আর থিরুভাল্লুভার এর স্মৃতিসৌধ, সামনে, ঘাসে মোরা লন, সেখানে ইতস্তত ময়ুর ঘুরে বেড়াচ্ছে , এখানে বসেই একটা গোটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়।
ভোরের আলো ফুটতে তখনো ঘণ্টা দুয়েক বাকি ।  মিশকালো পটভূমির ওপর সাদা, দক্ষিণের গোপুরাম স্থাপত্যশৈলীতে ছোট একখানি মন্দির,  সামনে চালের গুঁড়ো দিয়ে আলপনা আঁকা , টুনি বাল্ব দিয়ে সাজানো, সদ্য জল দিয়ে ধোয়া হয়েছে স্বর্ণচাঁপা আর ধুপের গন্ধ ভেসে আসছে ভেতর থেকে। মন্দিরের সামনে একটা লাউড স্পিকার থেকে গম্ভীর সুরেলা গলা তে তামিল ভাষায় স্তোত্রপাঠ শোনা যাচ্ছে, বিগ্রহ দর্শন হল না, তবুও মাহেন্দ্রক্ষণের আশেপাশে, পরিবেশটা ভারী পবিত্র লাগলো, ক্লান্তি দূর হল
চোখ ডলছি তখনো... হুড়মুড় করে নেমেছি বোঁচকাবুচকি , বাচ্চা বুড়ো সমেত...কেউ সুটকেস টপকে, কেউ অন্যের পায়ের ফাঁক গলেভিল্লুপুরম জংশন এ ভোর সাড়ে তিনটের দিকে ট্রেন থামে ঠিক ২ মিনিটআগের দিন সন্ধ্যায় কন্যাকুমারি থেকে ট্রেন এ চেপেছি , না হয়েছে ভাল করে রাতের খাওয়া আর আশঙ্কা তে না হয়েছে ঘুম । ভিল্লুপুরম থেকে আন্দাজ ৪০ কিমি. দূরে ঋষি অরবিন্দের স্মৃতিধন্য পুদুচ্চেরি বা পন্ডিচেরি, আমাদের পরের গন্তব্যস্থল ।
প্রাচ্যের ‘ফরাসি রিভিয়েরা’, এই পন্ডিচেরি , ভারতে ফরাসিদের বৃহত্তম উপনিবেশ ছিল । চেন্নাই থেকে মাত্র ১৬০ কিমি. অথচ পন্ডি আর চেন্নাই এর থেকে সাংস্কৃতিক দুরত্ব প্যারিস থেকে দিল্লির দুরত্বের সমান । ভূমধ্যসাগরীয় স্থাপত্যের ধাঁচে বাড়ি, দুধ সাদা বাড়ির গায়ে গোলাপি বোগনভিলিয়ার ঝাড়, ফুটপাথে, রট আয়রনের চেয়ার টেবিল পেতে, শীতের মিঠে রোদ পোয়াতে পোয়াতে কফি সহযোগে ‘রোলস’ আর ‘ক্রওসো’ খেতে খেতে দিব্যি আড্ডা চলছে । চেনা লাগল । আমাদের উত্তর কলকাতার রকের আড্ডায়  মাটির ভাঁড়ে চা সহযোগে আলুর চপ এর সাথে কোথায় যেন একটা মিল জীবনে চলার ছন্দে মিলএখানেও জীবন চলে দুলকি চালে । তাড়াহুড়ো নেই, নেই ধাক্কাধাক্কি
পুরনো আর নতুন শহরের মাঝে একটা খালের ব্যবধান নতুন পন্ডিচেরির সমুদ্রের ধার বাঁধানো রেলিং দিয়ে , পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সামনে একটি স্তম্ভের ওপর গান্ধী মূর্তি । আশেপাশে ছোট ছোট খাবারের ঠেলা গাড়ি , আর খানিক এগিয়ে অনেক ক্যাফেটেরিয়া। সামনে ঝকঝকে রাজপথ , ফরাসি দের মত লাল চোঙা টুপি পরে, কনস্টেবল রা ট্র্যাফিক সামলাচ্ছে , অপর পারেই সারি দিয়ে ঝাঁ চকচকে আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ-সাত তারা হোটেল এর আলোর ঝলমলানি তে  চোখ টনটন করে। সার বাধা পাম গাছে নীল সবুজ টুনি বাল্ব পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে লাগানো, দূর থেকে দেখে মনে হয়, মধ্য প্রাচ্যের কোনও সমুদ্রতটে এসে পরেছি যেন
অরবিন্দ ঘোষ, পরবর্তী কালে ঋষি অরবিন্দ হিসেবে যার বেশি পরিচিতি, পন্ডিচেরি তে অরবিন্দ আশ্রম স্থাপনা করেন ১৯২৬ সালের নভেম্বর মাসেএই বিশাল কর্মকাণ্ডে ওনার সহযোগী ছিলেন মীরা আলফাসসা, ‘মাদার’ নামেই যিনি পরিচিত ।  আজ সারা পৃথিবী জুড়ে অরবিন্দ আশ্রম এর শাখা, মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশ ঘটানোই, এদের মূল লক্ষ্য ।
আগেই বলেছি, খালের দুই পারে দুই শহর । সাদা শহর , বা   ‘ভিলে ব্লাঞ্চ’ এ ফরাসি রা থাকতেন আর কালো শহর বা ‘ভিলে নয়ের’ এ থাকতেন স্থানীয় অধিবাসীরা । সাদা শহরে , পথ হারিয়ে অরবিন্দ আশ্রম এর কাছে , সাইকেল আরোহী এক সাদা সাহেব কে চোস্ত কনভেন্ট মার্কা ইংরেজি তে পথের হদিস চাইতেই, সে গড়গড় করে আরো চোস্ত কলকত্তাইয়া বাংলা তে আমাকে রাস্তা বুঝিয়ে দিলোদুটো জিনিষ হল এতে, প্রথমত পণ্ডিচেরি তে ইংরেজি বলার চেষ্টা করিনি আর...দ্বিতীয়ত, এটা বুঝলাম যে, ভারতের এই দক্ষিণ প্রান্তে, অরবিন্দের আনুকুল্যে ফরাসি বিপ্লব কে ছাপিয়ে, বঙ্গ বিপ্লব হয়েছে নিঃশব্দে বহু বিদেশি এই আশ্রমে শিষ্যত্ব নিয়ে, তাদের গুরুর মন্ত্রের সাথে গুরুর ভাষা কেও গ্রহন করেছেন দেখলাম।
কালো শহরে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এক ঘোর কৃষ্ণবর্ণা ফুলওয়ালীর কাছে ফুল কিনতে গিয়েছিলাম, মাথায় লাগাবো বলে, ফুলের ঝুড়ি সরিয়ে, সে এসে আমার মাথায় , শুধু যে সাদা-কমলা রঙের মালা টা লাগিয়ে দিলো, তাইই না, একটাও পয়সা নিতে অস্বীকার করল । হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলো, যে আমি বাইরে থেকে এসেছি, অতিথি, তাই এটা সে দিলো আমাকে। ঘটনা টা বহু বছর আগের, এখনো সেই উপহার আর হাসির কথা মনের এক কোনে সযত্নে রেখে দিয়েছি ।
পন্ডিচেরি থেকে অরোভিল বা আলোর শহর , কিলোমিটার দশেক । পন্ডিচেরি তে সারাদিনের মত সাইকেল আর বাইক ভাড়া পাওয়া যায় স্বাধীন ভাবে, নিজের স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে বাইক ভাড়া করে অরোভিল অভিমুখে চললাম প্রায় ৪৩ দেশের হাজার দুয়েক মানুষ ‘মাদারের’ র মানসী, এই অরোভিলে বসবাস করে অরোভিলের আধ্যাত্মিক কেন্দ্রে মাতৃ মন্দির ... সোনার চাকতি দিয়ে মোড়া , ভিতরে ধপধপে সাদা, নিরাভরণ ,শুধু বড়সড় একটা স্ফটিক ছাড়া কিছুই নেই । মানুষের অন্তর আর বাইরের প্রতীকি বোধহয় । বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই শহরে কত যে নাম না জানা গাছ , কত অজানা ফুলের ঝিম-ধরানো গন্ধ , কত রকমের, কত বর্ণের মানুষ , কত জীবন যাপনের ধারা     , কত দেশ বিদেশের খাবার , দেখে আর চেখে যেন আশ আর  মেটেনা। ‘কর্নার কাফে’ তে খাওয়া , ‘হাঙ্গারিয়ান গোলাশ’  আর কড়কড়ে সেঁকা পাউরুটি র স্বাদ পেতে আবার যেতেই হবে অরোভিলে।
এবার ঘরে ফেরার পালা। ফিরতে যে হবেই। কোলাহল, যানজট , হর্নের আওয়াজ, ছোটাছুটি, বাংলা সিরিয়াল, বাজার, স্কুল, দশটা-পাঁচটা যে ডাকছে আবারতাই, নতুন অবসরপ্রাপ্তি অবধি...অবসর বিদায় ।                               







No comments:

Post a Comment